।। অনন্যা ।। ----- দ্বৈপায়ন দত্ত। তাং ২২-০২-২০২৫।
।। অনন্যা ।।
----- দ্বৈপায়ন দত্ত। তাং ২২-০২-২০২৫।
ফেব্রুয়ারি মাসটা বসন্তের আগমনের মাস।
গাছে গাছে ফুল আসে — মনে মনে
আসে প্রেম।
অনন্যা, মনে পড়ে — সাতই ফেব্রুয়ারিটা?
তুমি ফোনের পর ফোন — অতিষ্ঠ করে তুলেছিলে —
কখন ফিরছি আমি।
সে দিনটা রোজ ডে ছিল —
মানে, গোলাপ দিবস — গোলাপ দেবার
দিন।
কিন্তু আমরা তা জানতামই না।
তাই আমাদের হাতে গোলাপ ছিল না।
ছিল — শুধু ভালোবাসায় ভরা দুটি
ভীষণ আবেগি মন।
সেদিন আমরা গোলাপ নয় —
একে অন্যকে ভীষণভাবে জড়িয়ে ধরে
দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে ঠোঁট
রেখে —
মন দেওয়া নেওয়া করেছিলাম।
রোজ ডে-টা সেদিন কাকতালীয়ভাবে আমাদের জীবনকে ছুঁয়ে গেলো।
তারপর এলো উনিশে ফেব্রুয়ারি।
বলা নেই কওয়া নেই সাঁঝের বেলায় আচমকা হাজির।
আমার কাছে সেদিনটা একটা ভীষণ সারপ্রাইজ ছিল বটে!
জীবনের সেরা সারপ্রাইজ!
আযোনি ওষ্ঠ গভীর চুমুর মাঝে
আমরা সেদিন কনফেস করেছিলাম —
প্রথম দেখাতেই আমরা একে অন্যের প্রেমে পড়েছিলাম
পঁচিশ বসন্ত আগে এমনই এক সাঁঝের বেলায়।
কিন্তু আমরা কেউই জানতাম না —
ওই দিনটা কনফেশন ডে ছিল —
মানে স্বীকারোক্তি দিবস — স্বীকার করে নেওয়ার দিন।
বিশে ফেব্রুয়ারি তুমি যখন চলে গেলে —
জানো, তোমাকে খুব মিস করছিলাম!
কিন্তু জানতাম না — সে দিনটা
মিসিং ডে ছিল —
মানে, অনুপস্থিতি দিবস — অনুপস্থিতি অনুভবের দিন।
কিন্তু দেখো, আমাদের জীবনে সে দিনটা
শুধুমাত্র মিসিং ডে ছিল না —
সে দিনটা কেমন করে যেনো প্রমিস ডেও হয়ে গিয়েছিল —
মানে, প্রতিশ্রুতি দিবস — প্রতিশ্রুতি
দেবার দিন।
সেদিন আমরা একটা মন্দিরে গিয়েছিলাম।
কিন্তু যাওয়ার আগে আমরা জানতামই না আমরা মন্দিরে যাচ্ছি।
আমাদের যাওয়ার পথে মন্দিরটা পড়েছিল।
তাই ক্ষণিকের জন্য পথে থেমে গিয়েছিলাম।
কোনো আগাম পরিকল্পনা ছাড়াই
মন্দিরের চারিদিকে এক পাক ঘুরলাম।
তুমি বাঁকা চোখে হেসে বললে — এক পাক খেতে
নেই!
সময় ছিল না — তাই আর পাক খাওয়া হোল
না।
(কিন্তু কয় পাক খাওয়া উচিৎ ছিল — সাত পাক কিনা —
তা অবশ্য অব্যক্ত থেকে গেলো।)
বিগ্রহের সামনে চুপ করে থমকে দাঁড়ালাম।
সেদিন তোমার মাথাটা রাঙাইনি ঠিকই —
তবে হটাত করে দেবতাকে সাক্ষী রেখে
প্রমিস করে বসলাম — আমার বউ।
আর বললাম — মাথাটা একটুতেই গরম হয়ে
যায়,
একটু ঠান্ডা করে দিও ভগবান!
আমনি অগ্নিঝরা চোখে তুমি আমার দিকে তাকালে।
আমি তো এটাই চেয়েছিলাম।
জানো, দেবতাকে আমি যাই
বলি না কেনো —
তোমার রেগে যাওয়াটা একান্তভাবে আমি চাই।
কেনোনা, তাতে আমি ভীষণ মজা পাই।
কেনো জানো?
তারপর যে ভালোবাসাটা তোমার কাছ থেকে আসে —
এ জগতে তার তুলনাই নেই!
তুমি শুধু নামেই নও — ভালোবাসাতেও তুমি অনন্যা!
=============০=============
Comments
Post a Comment