তোরা উৎসবে ফিরে আয় ---- দ্বৈপায়ন দত্ত
।।তোরা উৎসবে ফিরে আয়।।
---- দ্বৈপায়ন দত্ত
তোরা উৎসবে ফিরে আয়!
একজন শাসকের পক্ষে হাত
নেড়ে
কত সহজেই না কথাটা বলে
দেওয়া যায়।
শাসকের এ চরিত্রটা চিরন্তন।
কিন্তু নির্মম হত্যাকে
ভুলে
রাস্তার প্রতিবাদ ফেলে
পূজোতে কি ফিরে আসা যায়?
রাখা যায় কি শাসকের আহ্বান?
কালের নিয়মে শাসক আসে শাসক
যায়
কিন্তু প্রজাদের উপর অত্যাচার
শোষণ —
সেসব থামে কৈ?
না, থামে না, তা থামারও
নয়।
কেনোনা, শাসক তো শাসকই
তার চরিত্রের বদল যে কোনোদিনও হওয়ার নয়। কেবল অত্যাচারের রকমটা বদলায়।
শাসকের বিরুদ্ধে পুঞ্জিভূত
হয় ক্ষোভ।
কখনো কখনো খুলে যায় তার
জ্বালামুখ
আর সেই পুঞ্জিভূত রোষের
আগুনে
রাজপুরোহিতেরা ভগবানকে
টেনে এনে
শান্তির জল ছিটায় —
রাজা ভগবান!
রাজপুরোহিতদের অমোঘ নিদান
—
রাজার শোষণ অত্যাচার?
অপপ্রচার! রাজার বিরুদ্ধে
অপপ্রচার!
আর রাজার অত্যাচারে প্রজার
দুর্দশা?
কুৎসা! রাজার বিরুদ্ধে
কুৎসা!
শোষণ অত্যাচার দুর্দশা
সবই প্রজার কর্মফল,
রাজা উপলক্ষ মাত্র।
শান্তি স্থাপনের এই কুটিল
ধারা আজও অব্যাহত
তাই উৎসব নামক ফায়ার ব্রিগেডকে
দিয়ে
বিদ্রোহের আগুনকে নেভাতে
শাসক ব্যস্ত।
বাস্তবে রাজপুরোহিত আজ
আর নেই,
নেই আজ রাজছত্র।
নিদান দাতার মুখটাও কালের
নিয়মে বদলেছে,
শাসক রাজপুরোহিত আজ আর
আলাদা নয়
মিলেমিশে এক হয়ে গেছে।
কিন্তু, নিদানটা রয়ে গেছে
সমহিমায়।
আর তাই নৃশংস হত্যাকে ঢাকতে
বিচারের দাবিতে ফেটে পড়া
বিদ্রোহকে ঠেকাতে
শাসক অনায়াসেই নরম গলায় হুঁশিয়ারি দেয় —
অনেক হয়েছে এবার তোরা রাস্তা ছাড়!
আর বিদ্রোহ নয় —
দর্শনার্থীদের ব্যাঘাত ঘটিয়ে আর নয় রাত দখল! শাসকের কাছে প্রজা যেনো একটা ভেড়ার পাল,
তাই ছলনা জড়ানো কপট সুরেলা ডাক —
আয় আয়, তোরা উৎসবে ফিরে আয়!
------ তাং ১৩-০৯-২০২৪
Comments
Post a Comment