Posts

ভালোবাসি ---- দ্বৈপায়ন দত্ত। ০২-০৬-১৯৯৯

  ।। ভালোবাসি ।। ---- দ্বৈপায়ন দত্ত।     ভালোবাসি —   তাই রক্ত দিয়ে পত্র লিখেছিলাম। তারপর তোমার দম বন্ধ করা নীরবতায়    ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এত মুখ শুকনো করে থাকার কী আছে?   বলে, একদিন হটাত করে নীরবতা ভাঙলে।   আমায় ভালো বাসলে।     ভালোবাসি — তাই তোমাকে নিয়ে উড়েছি পাখীর মতো রাঙা চোখগুলোকে ফাঁকি দিয়ে হেথাহোথা —    গিয়েছি একটা স্বপ্নের দেশ থেকে আর একটা স্বপ্নের দেশ যেথা।   পথি মধ্যে নিয়েছি মেখে তোমার মিষ্টি ঠোঁটের ছোঁয়া।     ভালোবাসি — তাই লেখাপড়া? বইয়ের সঙ্গে আড়ি!    সারাক্ষণ মনে হয় তোমায় দেখি —    কখন যে তোমার সময় হবে পাখনা মেলে থাকি। আর পত্র দিলে?  বারে বারে খুলে খুলে পড়ি।     ভালোবাসি — তাই কাঁটাতারের ওপারে ফিরে গেলাম না।   অথচ, আমি এখানে থাকতে আসিনি —    আমার শৈশব কৈশোর সব যে ওখানে —     ওপারটা ভীষণ সুন্দর!   কিন্তু ভেবে দেখলাম, তোমার মুখ খানাবা কম কীসের?   তাই রোয়েই গেলাম তোমার টানে।   ভালোবাসি — তাই সেবার যখন মা বাসায় এলেন, ...

আমার কী কাজ? --- দ্বৈপায়ন দত্ত। তাং- ২৯-০৯-২০২২।

।। আমার কী কাজ? ।। --- দ্বৈপায়ন দত্ত। তাং- ২৯-০৯-২০২২।   তোমরা পৃথিবীর বোঝা বোইতে বোইতে  দিনশেষে ঘুমোতে পারো নিদারুণ ক্লান্তিতে।   আমাকে ক্লান্ত হতে নেই, ঘুমোতেও নেই ,   তোমাদের সাথে আমার তফাত শুধু এইটুকুতেই।      তোমরা যখন উৎসবের আনন্দে মেতে,   আমি তখন আনন্দ-ভঙ্গকারীদের জন্য ফাঁদ পেতে।   তোমরা যখন গভীর নিশীথে ঘোর ঘুমে,   আমি তখন জেগে রই ---    তোমাদের সুন্দর সকালের আহ্বানে।   তোমরা যখন প্রেয়সীর গভীর আলিঙ্গনে,   আমি তখন দুয়ারে পথে প্রান্তরে অতন্দ্র প্রহরায় । কেন জানো?  কেউ যেন তোমাদের প্রেম-ভালোবাসায় কিঞ্চিৎ বিঘ্ন না হানে।   তোমরা যখন হন্যে হয়ে খোঁজো সবার আহার মন্থন করি মরো মাঠ হাট দিগন্ত বিস্তৃত উত্তাল পাথার,   আমি তখন অনুসন্ধান করি, তোমাদের এই হন্যে হয়ে খোঁজার দায় কার?   তোমরা যখন বিতাড়িত হয়ে খোঁজো নতুন আশ্রয় আমি তখন তোমাদের কানেকানে শোনাই ---  ঘুরে দাঁড়াও  ঘুরে দাঁড়াও --- আর পিছিও না,   এ ধরণীর কোল অন্তহীন নয় --- ...

খাঁচায় বন্দী পাখি ------ দ্বৈপায়ন দত্ত। তাং- ২৫-১২-২০২৩।

।। খাঁচায় বন্দী পাখি ।। ------ দ্বৈপায়ন দত্ত। তাং- ২৫-১২-২০২৩।       আমি একটি পাখি দেখেছিলেম সাঁঝের বেলায় না ফিরতে পারা একটি পাখি। কথায় কথায় জানলেম — সে ছিল খাচায় বন্দী একটি পাখি —   খাঁচার ফোকর দিয়ে  সারাটা বেলা থাকত সে আকাশ পানে চেয়ে। কথায় কথায় বললেম — এলে কেমন করে খাঁচার বাইরে?   সে বললে — সে অনেক কথা!   একদিন একটা পাগলা হাওয়া খাঁচায় এলো ধেয়ে —   অমনি শিউরে উঠলেম। বললেম —   আমি ডানা মেলে আকাশ ছুঁতে চাওয়া এক পাখি — কিন্তু তুমি  কে? উত্তর এলো — আমি আকাশ ছোঁয়া এক পাখি, তোমায় নিতে এসেছি,  তুমি যাবে?   আমি বললেম — না না না,    আমি তোমার সাথে যেতে পারবো না। কিন্তু সে পাখিটি ভীষণ নাছোড়বান্দা থেকে থেকে ডেকেই গেলে   আমার কোনো বারণ শুনলে না।   তারপর? তারপর আর কী? তারপর একদিন সে ইচ্ছে করেই ডাকলে না। মনে হোল যেনো কোনো এক সর্বগ্রাসী আঁধার ঘিরে ফেলেছে আমার খাঁচার চারিধার!    এক অজানা আশঙ্কায় আমি কেঁদে আকুল হলেম —   ও আকাশ ছোঁয়া পাখি আমি যাব...

Unchecked avarice and abuse of power push Sundarban fishers to the brink

  Unchecked avarice and abuse of power push Sundarban fishers to the brink (Briefly published in the ‘Ganashakti’ entitled as ‘Punjir Chape Konthasa Hochchhen Sundarboner Matsyajibira’ on 29 th September, 2024 )    Milan Das Translated by Santanu Chacraverti The Sundarban has fallen prey to capital. The biodiversity of this mangrove ecosystem is threatened by the unbridled growth of tourism business. The tyranny of the forest department confronts the poor and marginalized residents of the area with the threat of eviction. Livelihoods are under constant attack. The traditional livelihood of fishing faces the threat of extinction. Every day, new legal stratagems are devised to create new threats to the livelihood of the fishers. * The unique ecosystem of Sundarbans is being destroyed by the lure of indiscriminate tourism. Today, the people dependent on the mangrove ecosystem for their livelihood have become exiles in their own homes. They barely manage to subsis...

গহ্বর গাজী ---- দ্বৈপায়ন দত্ত

  ।। গহ্বর গাজী ।। ---- দ্বৈপায়ন দত্ত বনপাসসহ বনপাশে নাও ’ পরে ভাসে সাথে হাজার কাঁটার দন; বিদ্যার জলে মাছ নাহি মেলে এবে শেষ হবে গন ।   জীর্ণ ঘর, রুগ্‌ণা ঘরনি   পথ্য নাহি পায়; আড়ৎদারের তাড়া, তার চেয়েও বাড়া যুবতি কন্যার দায়। পড়িল সহসা টান, ছিঁড়িল বুঝি দন!   নৌকা উঠিল দুলে; তাড়া করে ভয়, যদি অন্য কিছু হয়! প্রাণ বুঝি গেল অকালে! শঙ্কা হল দূর, বহুদিন পর সেরা ভেটকি ভাঙন দেখে; নৌকার খোলে চুঁয়া জল ফেলে থরে থরে সাজিয়ে রাখে। মন ক্যানিং-এ যায় গোবিন্দের কাঁটায় —     সেরা দাম যাবে পাওয়া; হালকা হবে দাদনভার, ওষুধ হবে সালেহার,   রাবিয়ার হবে বিয়া । ছবিটা মুহূর্তে   মিলায় চকিতে হইলে উদয়   বন্দুকধারী বনরক্ষী (?) দুটি; দীনের দেনা দায় দীনকে কি ছাড়িতে চায়? মুক্তির দুরাশা হল মাটি। যমদূতদ্বয় বজ্রসম কয়, কোন শুয়োরের বাচ্চারে তুই!   থাকিস কোথায়?   কি নাম তোর? আজ্ঞে হুজুর,   মুই গহ্বর গাজী,     পিতা আমজাদ, নিবাস নগেনাবাদ। বড্ড পাজি! পাওনাটা (?) দেবে কেটা ?   পাষাণ! পামর! যা...